ভেরিয়েবল ও ডাটা টাইপ (variable & data type)
ভেরিয়েবল ও ডাটা টাইপ
(variable & data type)
চল দেখে নেয়া যাক একটি
সি প্রোগ্রাম ঠিকমত লিখতে গেলে আমাদের কি কি জানা প্রয়োজনঃ
সবার আগে আমাদের সি
প্রোগ্রাম লেখার গঠন সম্পর্কে জানতে হবে-
যেমন একটি সি প্রোগ্রামের
প্রধান অংশ কোনগুলি যেগুলো আমাদের প্রত্যেকটি সি প্রোগ্রাম লিখার জন্য অবশ্যই লিখতে
হবে অর্থাৎ এটিকে আমরা ফরম্যাট ও বলতে পারি। এর পরে জানা লাগবে ভেরিয়েবল, ডাটা টাইপ
বা রিটার্ন টাইপ, অপারেটর, ফাংশন ইত্যাদি। এর সব কিছুই আমরা ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে
শিখব। চল তাহলে শুরু করা যাক-
প্রথমে আমরা জানব ডাটা
টাইপ বা রিটার্ন টাইপ সম্পর্কে-
টাইপ বা রিটার্ন টাইপ
হল একটি স্পেসিফাইয়ার মানে একটি ডাটা কি সংখ্যা হবে নাকি ক্যারেক্টার হবে। যদি সংখ্যা
হয় তবে সেটি কি পূর্ণ সংখ্যা হবে না দশমিক সংখ্যা হবে, সংখ্যাটির আকার খুব বড় হবে নাকি
ছোট হবে তা নির্দেশ করে দেয়। যদি ক্যারেক্টার হয় তবে সেটি কি সিঙ্গেল ক্যারেক্টার হবে
নাকি একসাথে অনেকগুলো ক্যারেক্টার হবে নাকি ওয়ার্ড হবে নাকি সেন্টেন্স হবে এগুলো নির্দেশ
করে দেয়।
এখানে মূলত আমি তোমাদের
চার ধরণের ডাটা টাইপ নিয়ে আলোচনা করব-
1. char
2. int
3. float
4. double
char ডাটা টাইপঃ char ডাটা টাইপ অক্ষর বা সিঙ্গেল ক্যারেক্টারকে রিপ্রেজেন্ট করে। এটি মেমরিতে
1-byte বা 8-bit যায়গা নেয়। char টাইপের ডাটাকে প্রোগ্রামে ইনপুট বা আউটপুট নেয়ার জন্য
%c ব্যাবহার করতে হয়।
int ডাটা টাইপঃ int ডাটা টাইপ পূর্ণ সংখ্যাকে রিপ্রেজেন্ট করে। এটি মেমরিতে ২-byte
বা ১৬-bit যায়গা নেয়। int টাইপের ভেরিয়েবলের মান আমরা -৩২৭৬৮
থেকে +৩২৭৬৭ এর মধ্যবর্তী যেকোনো সংখ্যা নিতে পারবো। টাইপের ডাটাকে প্রোগ্রামে ইনপুট
বা আউটপুট নেয়ার জন্য %d ব্যাবহার করতে হয়।
float ডাটা টাইপঃ float ডাটা টাইপ দশমিক সংখ্যাকে রিপ্রেজেন্ট করে। এটি মেমরিতে 4-byte বা ৩২-bit যায়গা নেয়। float টাইপের ভেরিয়েবলের মান আমরা ৩.৪×১০-৩৮ থেকে ৩.৪×১০৩৮ এর
মধ্যবর্তী যেকোনো সংখ্যা নিতে পারবো এবং এই ভেরিয়েবলে দশমিকের পর
সর্বোচ্চ ৬ ঘর পর্যন্ত রাখা যায়। টাইপের ডাটাকে প্রোগ্রামে ইনপুট বা আউটপুট
নেয়ার জন্য %f ব্যাবহার করতে হয়।
double ডাটা টাইপঃ double ডাটা টাইপ দশমিক মান সহ সংখ্যাকে রিপ্রেজেন্ট করে তবে এর আকার float ডাটা
টাইপ থেকে বড়। এটি মেমরিতে 8-byte বা 64-bit যায়গা নেয়। double
টাইপের ভেরিয়েবলের মান আমরা ১.৭×১০-৩০৮
থেকে ১.৭×১০৩০৮ এর মধ্যবর্তী
যেকোনো সংখ্যা নিতে পারবো এবং এই ভেরিয়েবলে দশমিকের পর সর্বোচ্চ ১৫
ঘর পর্যন্ত রাখা যায়। টাইপের ডাটাকে প্রোগ্রামে ইনপুট বা আউটপুট নেয়ার জন্য
%lf ব্যাবহার করতে হয়।
এখন চল দেখা যাক ভেরিয়েবল কি এবং প্রোগ্রামে কিভাবে ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ার করতে
হয়-
ভেরিয়েবলঃ
ভেরিয়েবল কে আমরা কনটেইনারের সাথে তুলনা করতে পারি। অর্থাৎ ভেরিয়েবল হল এমন কিছু
যার মধ্যে আমরা বিভিন্ন টাইপের ডাটা রাখতে পারি। যেমন- একতা গ্লাসের কথায় চিন্তা
করা যাক। গ্লাসে কখনো আমরা পানি রাখি, কখনো দুধ রাখি, কখনো আবার চাল রাখার বা বহন
করার জন্যও ব্যাবহার করে থাকি। ভেরিয়বল জিনিসটাও অনেকটা এমন। একটা ভেরিয়েবলের
মধ্যে আমরা ইন্টিজার, ফ্লোট, ক্যারেক্টার বা ডাবল যেকোনো টাইপের ডাটা রাখতে পারি।
তবে সেটা নির্ভর করবে আমরা ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ার করার সময় এর টাইপ কি দিয়েছি ইন্টিজার,
ফ্লোট, ক্যারেক্টার নাকি ডাবল।
এবার চল দেখা যাক ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ার করার কিছু নিয়ম-
১। ইংরেজি ছোট হাতের বা বড় হাতের যেকোনো হরফ দিয়ে শুরু করা যাবে।
২। যেকোনো পূর্ণ সংখ্যা যেমন- ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ দিয়েও ভেরিয়েবল
ডিক্লেয়ার করা যাবে। তবে ভেরিয়েবলের নাম সংখ্যা দিয়ে শুরু করা যায় না কিন্তু ক্যারেক্টার
বা হরফের পরে যেকোনো যায়গায় ব্যাবহার করা যাবে।
৩। _ (আন্ডার স্কোর), $ (ডলার সাইন) ছাড়া অন্য কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার (@,
&, +, - ইত্যাদি) ব্যাবহার করা যাবে না।
৪। ভেরিয়েবলের নামের মধ্যে কোন স্পেস
দেয়া যাবে না।
৫। কী ওয়ার্ড কে ভেরিয়েবলের নাম হিসেবে ডিক্লেয়ার করা যাবে না।
৬। ভেরিয়েবলের নামের পূর্বে অবশ্যই ডাটা টাইপ উল্লেখ করে দিতে হবে নাহলে হবে
না।
উদাহরণ-
Data_type
variable name;
int
a;
float
ab;
double abc;
char
a_b;
int a$b;
int a1;
ভেরিয়েবলের নামের শেষে
অবশ্যই সেমিকোলন (;) দিতে হবে নাহলে প্রোগ্রাম এরর দিবে।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয়
– একই টাইপের ভেরিয়েবলের নাম একি লাইনে কমা দিয়ে লেখা যাবে। চাইলে আমরা পৃথক লাইনে
আলাদা আলাদা করেও লিখতে পারি।
যেমন-
int a;
int b;
int c;
float a;
float b;
float c;
এটাকে আমরা এভাবেও লিখতে
পারি-
int a, b, c;
float a, b, c;
No comments